বরিশাল বিএম কলেজে ‘সিনিয়র’-‘জুনিয়র’ দূরত্বটা নাকি যৎসামান্য।
তাই যতটা না তার নিজ বন্ধুদের সঙ্গে ইয়ূথ লিডার রাশেদ ইমামের ওঠা বসা, ঢের বেশি ক্যাম্পাসের ‘সিনিয়র’-‘জুনিয়র’দের সঙ্গে। আর এই খাতিরের খ্যাতি হিসেবে তিনি পরিচিত ‘সবার বন্ধু রাশেদ’ হিসেবে।।
ক্যাম্পাসে বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন কিংবা বিশেষ দিবসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন, সবক্ষেত্রেই ভূমিকা রেখে চলেছেন রাশেদ। শুধু কি কলেজ ক্যাম্পাসেই, ক্যাম্পাসের গণ্ডি পেরিয়ে তার পদচারণা বরিশালের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের সর্বত্র। আর সেই পথ ধরে রাশেদ বরিশাল চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া বাংলাদেশ বেতার বরিশাল কেন্দ্রে যুক্ত আছেন অনুষ্ঠান ঘোষক, আবৃত্তিকার ও সংবাদ পাঠক হিসেবে।
রাশেদ-সহ আরও কয়েকজন শিক্ষার্থীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছে বরিশাল ডিবেটিং সোসাইটি এবং বিএম কলেজে ডিবেটিং সোসাইটি। ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষার্থী রাশেদ ইমাম তার যুক্তির তরবারি শাণিত করতে এখন প্রতি সপ্তাহে হাজির হন বরিশাল শহরের বাইরের একটি কলেজে, বিতর্কের ক্লাস নিতে।
কীর্তি অনেক, তাই পুরস্কারের ঝুঁলিও দিন দিন ভারী হচ্ছে রাশেদের। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত বারোয়ারি বিতর্কে হয়েছেন রানার্সআপ, বরিশাল বিভাগীয় ইউএন উইমেন ও বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশন আয়োজিত আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় হয়েছেন রানার্সআপ। ২০১১ সালে খুলনায় ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গার আয়োজিত সামাজিক উদ্যোগ মেলায় শ্রেষ্ঠ উদ্যোগ নির্বাচিত হয় রাশেদের দলীয় বিতর্ক প্রকল্প।
বরিশাল বিএম স্কুল ও সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের সাবেক এই শিক্ষার্থী রাশেদ ইমাম নিজের স্বপ্নের কথা জানান এভাবে, ‘যা শিখেছি, তা শেখাতে চাই। কাজ করতে চাই সমাজের মানুষের উন্নয়নের জন্য।’