ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গার, বরিশাল অঞ্চলের ১০ বছর পূর্তি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২রা ফেব্রুয়ারি নগরীর অশ্বিনী কুমার হলে এ আয়োজন সম্পন্ন হয়। প্রতিপাদ্য ছিলো,
‘সামাজিক দায়বদ্ধতাই শক্তি, তারুণ্যই আনবে মুক্তি’
অনুষ্ঠানে দিনব্যাপী আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র্যাফল ড্র সহ বিভিন্ন আয়োজনে মুখরিত ছিলো অশ্বিনী কুমার হল মিলনায়তন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক, সুজন সাধারন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন,মুক্তিযোদ্ধা আক্কাস হোসেন, রাহাত আনোয়ার হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শারমিন আনোয়ার, সরকারি মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল মোতালেব হোসেন হাওলাদার, বিএম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর স.ম. ইমানুল হাকিম, প্রফেসর শাহ্ সাজেদা প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান, মার্কিটিং বিভাগ সরকারি ব্রজমোহন কলেজদি হাঙ্গার প্রজেক্টের আঞ্চলিক সমন্বয়ক মেহের আফরোজ মিতা, প্রমুখ। । টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাএা নিয়ে আলচনা করে দিপু হাফিজুর রহমান সন্ময়কারী ডেমোক্রেসি ইন্টান্যাশনাল বরিশাল অনুষ্ঠানে বিগত ১০ বছরে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরা স্বেচ্ছাসেবকদেও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়।
মেহের আফরোজ মিতা ও দিপু হাফিজুর রহমান এসডিজি অর্জনে তরুণরাই হাতিয়ার। গুটি গুটি পায়ে ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার প্রজেক্টের বরিশাল অঞ্চল আজ একটি সমৃদ্ধ সংগঠন।
প্রফেসর শাহ্ সাজেদা : দশ বছরের দীর্ঘপথ পাড়ি দেয়া তরুণ সংগঠনকে অভিনন্দন। নিজে কিছু করার আকাঙ্খা থেকে এই আয়োজনে আমি মুগ্ধ। সততা ও শিক্ষা নিয়ে এগুতে হবে। নিজে এবং আশেপাশের তরুণদের নিয়ে মাদকমুক্ত যুবসমাজ গড়ে তুলতে হবে।
প্রফেসর আবদুল মোতালেব হাওলাদার: তারুণ্যই মুক্তি আনতে পারে। তরুণদের বুদ্ধি, কৌশলেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের অনেক সূচকেই আমরা এগিয়ে গিয়েছি অনেকখানি। তরুণদের সকল খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে। আমরা প্রতিদিন যেন একটি হলেও ভালো কাজ করি।
প্রফেসর স.ম. ইমানুল হাকিম: লেখাপড়ার পাশাপাশি মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করার কথা বলি। তরুণদের বদলে দিচ্ছে ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গার।
আক্কাস হোসেন: তরুণরাই যুদ্ধ করে এদেশ স্বাধীন করেছে। এই তরুণদের হাতেই আগামীর বাংলাদেশ। সব কাজ সততার সাথে বাস্তবায়ন করবে। আজকের দিনটি আমরা আর ফিরে পাবোনা। তাই আজকের কাজটিকে সফলভাবে আজকেই করতে হবে।
বদিউল আলম মজুমদার: একটি দেশের নাগরিকরাই সেদেশের মালিক। দেশের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ জনগন। এটি মনে রাখতে হবে। তরুণরা যে বিশ্বাস
নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে তা করতে থাকলে আর কোন সমস্যা একদিন থাকবেনা। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে। নিজের সর্বোচ্চ বিকাশ সাধন করতে হবে। পরিবার ও বন্ধুদের ভালো কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে।