বাংলাদেশে প্রায় ৮ থেকে ১০ শতাংশ মানুষ হেপাটাইসিস রোগে আক্রান্ত।
আবার রোগীদের প্রায় ৮০ শতাংশই জানে না যে, সে এই রোগে আক্রান্ত। এ রোগ লিভারের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয় এবং মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। হেপাটাইটিস এ ও বি ছাড়া আর কোনো ভাইরাসের প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার হয়নি। তাই শুধুমাত্র সচেতনতার মাধ্যমেই এটি প্রতিরোধ সম্ভব। এমন অনুধাবন থেকে হেপাটাইসিস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইয়ূথ লিডারদের উদ্যোগে ঢাকার পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘হেপাটাইটিস: থিঙ্ক এগেইন’ প্র্র্রচারাভিযান পরিচালিত হচ্ছে। প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে এ বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার, অভিজ্ঞতা বিনিময়, রেডিও শো’র মাধ্যমে ডাক্তার কর্তৃক পরামর্শ প্রদান, প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছাব্রতীকে হেপাটাইটিস সম্পর্কে সচেতনতা বিষয়ক বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান এবং প্রায় ৩০০ হেপাটাইটিস রোগীদের নিয়ে বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস পালন করা হয়। সেমিনার আয়োজনের মুল উদ্দেশ্য ছিল আগত ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে হেপাটাইটিস সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা। এ প্রচারাভিযানের মাধ্যমে ইতিমধ্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় এক লাখ মানুষকে হেপাটাইটিস সম্পর্কে সচেতন করা সম্ভব হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইয়ূথ লিডারদের প্রত্যাশা “সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একদিন বাংলাদেশ হবে হেপাটাইটিস মুক্ত”।