মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের ১১ জন তরুণ নিজেদের নিয়োজিত করেছেন এলাকার অীতদরিদ্র ‘দিন এনে দিন খাওয়া’ মানুষদেরকে বাঁচিয়ে রাখার যুদ্ধে। তারা গোটা ইউনিয়নকে করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত রাখতে পর্যবেক্ষণ ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজ শুরু করেছেন। এই উদ্যোগে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার বাংলাদেশ মেহেরপুর জেলার সমন্বয়কারী পলাশ আহমেদ।
মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে ওরা ১১ জন পরিণত হয়েছে ৫০ জনে। শুধু গ্রামকে নয়, গোটা ইউনিয়নকে সুরক্ষিত রাখতে শুরুতেই বাজারে ও গ্রামে-গ্রামে বিতরণ করেছে সচেতনতামূলক লিফলেট। এই নিবেদিত তরুণেরা দেখল, গ্রামের বহু পরিবার আছে, যাদের খাবার জোগানোর সামর্থ্য নেই। এই সংকটে তাদের বেঁচে থাকাই কষ্টকর হয়ে উঠবে।
পলাশের নেতৃত্বে দল গঠন করে ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতা নিয়ে তৈরি করা হল অতিদরিদ্র মানুষের তালিকা। শুরু হল ইউনিয়নব্যাপী মুষ্ঠিভিক্ষা কার্যক্রম।
প্রথম দিন থেকে এই পর্যন্ত ৪৫০ কেজি চাল, ১২০ কেজি পেঁয়ায়া, ২৪০ কেজি আলু, ৬০ লিটার খাবার তেল, ৬০ কেজি লবণ, ৬০ কেজি ডাল, ৩০ কেজি কাঁচা মরিচ, ১২০ পিস সাবান এবং নগদ ৫০,০০০ টাকা জমা পড়েছে মুষ্ঠিভিক্ষার থলিতে। চলমান এই উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদেও চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান রানা। তারা প্রত্যাশা করেন, আগামী সপ্তাহে তারা আরো ৫০টি পরিবারকে সহায়তা প্রদান করতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *